নলকূপ বসানোয় দুর্নীতির অভিযোগ : চাঞ্চল‍্য জামালপুরে

6th August 2020 11:35 am বর্ধমান
নলকূপ বসানোয় দুর্নীতির অভিযোগ : চাঞ্চল‍্য জামালপুরে


বাবু সিদ্ধান্ত ( জামালপুর ) :  গ্রামে গভীর সিলেন্ডার নলকুপ বসানোর জন্য সরকারী ভাবে বরাদ্দ করা হয়েছিল মোটারকম অর্থ।কিন্তু নলকুপ বসানো হয়েছে অল্প লেয়ারে। ফলে কোন নলকুপ থেকে জল উঠছে না ।আবার যে নলকুপ থেকে জল উঠছে তা একেবারেই পানের অযোগ্য । ফলে বিষুদ্ধ পানীয় জলের সংকট দেখা দেওয়ায় ক্ষোভের পারদ চড়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জাড়গ্রাম পঞ্চায়েতের মরাবাঁধ ও দাসপুর গ্রামের বাসিন্দারের মধ্যে । এই  ঘটনার বিহিত চেয়ে বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন দুই গ্রামের বাসিন্দারা। প্রশাসন অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে । 


বিডিওর কাছে দায়ের করা অভিযোগে 
মরাবাঁধ  গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন , গ্রামবাসীদের পানীয় জলের সংকট মেটাতে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে মরাবাঁধ দুলেপাড়ায় গভীর সিলেন্ডার  নলকুপ বসানোর ব্যবস্থা করা হয় । তার জন্য নলকুপ প্রতি বরাদ্দ করা হয় ৬০ হাজার টাকা ।মরাবাঁধ গ্রামের বাসিন্দা  হারাধন মালিক , শ্রীকান্ত হালদার প্রমুখের অভিযোগ গ্রামে সিলেন্ডার  নলকুপ বসানোর কথা থাকলেও  অল্প লেয়ারে নলকুপ বসানো হয়েছে । ফলে ওই নলকুপ দিয়ে নোংরা ও দুর্গন্ধ যুক্ত জল বের হচ্ছে । ওই জল পানের অযোগ্য । স্বাস্থের পক্ষে হানিকর বুঝতে পেরে গ্রামের কেউ ওইসব কলের জল মুখে তুলতেও সাহস পাননা । তাই মরাবাঁধ দুলেপাড়ার ২৫ -৩০ ঘর বাসিন্দার পানীয় সংকট রয়েই গিয়েছে ।নলকুপ বসানোর কাজে যারা যুক্ত ছিলেন তারাই এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে মরাবাঁধ গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন । একই অভিযোগ করেছেন দাসপুর  গ্রামের বাসিন্দারাও । গ্রামবাসী  সেখ নাসিরুদ্দিন, সেখ সামসের আলি প্রমুখের অভিযোগ গভীর  সিলেন্ডার  নলকুপ বসানোর জন্য সরকারী ভাবে মোটা রকম টাকা বরাদ্দ করা হলেও নলকূপ বসানোয় দুর্নীতি  হয়েছে । যারজন্য  লোক দেখানো নলকুপ থাকলেও তারথেকে বিষুদ্ধ পানীয় জল আজও পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা । 


জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার এবিষয়ে বলেন , অভিযোগের তদন্ত হবে । সিলেন্ডার নলকুপ বসানোর কাজ ঠিকঠাক না হয়ে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।